অস্বাভাবিক জোয়ারে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের তাণ্ডব
কুয়াকাটা সৈকতে পড়ে আছে হাজারো গাছ
আপলোড সময় :
২২-১০-২০২৪ ০৯:৫১:৪৩ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৩-১০-২০২৪ ০৪:৪০:০৭ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র : ফোকাস বাংলা নিউজ
কুয়াকাটা সৈকতে বেলাভূমে পড়ে আছে হাজারো মরা গাছ। গত তিনদিনের অস্বাভাবিক জোয়ারে উত্তাল ঢেউয়ের তাণ্ডবে এসব গাছ উপড়ে গেছে। সৈকতের জাতীয় উদ্যানের ঝাউবাগান থেকে গঙ্গামতি পর্যন্ত দীর্ঘ সৈকতে মৃত লাশের মত সারি সারি গাছ উপড়ে পড়ে আছে। এখন জোয়ারের সময় এসব মরা গাছ ভাসতে থাকে। কেউ কেউ আবার কেটে নিচ্ছে। এসব গাছ অপসারণে বনবিভাগ কোন উদ্যোগ নেয়নি। উপড়ে যাওয়া গাছগুলোর কারণে পর্যটকরা মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে গিয়ে দুর্ঘটনার শঙ্কায় থাকছেন। সৈকত যেন লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঢেউয়ের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে আছে সৈকতের দীর্ঘ এলাকা। জাতীয় উদ্যানের সংরক্ষিত কনাঞ্চলের দুই তৃতীয়াংশ আগেই সাগর গিলে খেয়েছে। সর্বশেষ গত তিনদিনের জলোচ্ছ্বাস ও ঢেউয়ের ঝাপটায় অন্তত আরও ২০ মিটার প্রস্থ বেলাভূমি ভেসে গেছে। জাতীয় উদ্যানের গেট সংলগ্ন সড়ক, ছোট-বড় বেঞ্চ, ছাতা আগেই ঢেউয়ের তাণ্ডবে বিলীন হয়েছে। জাতীয় উদ্যান এখন অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। কুয়াকাটার বাণিজ্যিক ফটোগ্রাফার কামরুল জানান, শত শত গাছ উপড়ে পড়েছে। অনেক আবার বালুর নিচে চাপা পড়ছে। এমনকি, জিরো পয়েন্টের মসজিদ-মন্দিরসহ দোকানপাট এখন চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। সৈকতের ফিস ফ্রাই মার্কেটের অবস্থাও খারাপ। ছাতা বেঞ্চ ব্যবসায়ীরা খুব সমস্যায় পড়েছে।
বনবিভাগ মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, গত কয়দিনের অস্বাভাবিক জোয়ারে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ঢেউয়ের ঝাপটায় কুয়াকাটা সৈকতের ঝাউবাগানসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে ঢেউয়ের আঘাত থেকে বালুর ক্ষয় রোধ প্রতিরোধের জন্য উপড়ে থাকা গাছগুলো অপসারণ করা হচ্ছে না। তবে স্থানীয়রা বনবিভাগ কুয়াকাটা বিটের কর্মকর্তার যোগসাজশে কিছু মরা গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে।
বাংলা স্কুপ/কলাপাড়া প্রতিনিধি/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স